Sunday, December 20, 2015

মোহনবাগানের অজানা গল্প(পর্ব-২)

আমরা মোহনবাগানী।মোহনবাগানের ১২৬ বছরের ঐতিহ্য আমাদের কাছে গর্বের,আনন্দের।সেই সব পুরানো দিনের অজানা গল্পকেই আপনাদের কাছে তুলে ধরছে মোহন বাগান ফোরাম-বর্ণ টু রুল।
সৌজন্যে ফোরামের দুই প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সুব্রত দা(মাস্টারদা নামে পরিচিত)এবং অমিত দা(সবাই চেনে King Mariner Uncrowned নামে)।
গত ৬ই ডিসেম্বর থেকে আমাদের ফেসবুক পেজে প্রতি রবিবার গল্প গুলি প্রকাশিত হচ্ছে।
এখন সেই গল্পগুলির সংকলন আমাদের ওয়েবসাইট এও....




১৯১১-এর ঐতিহাসিক শিল্ড জয় অনেক কিছু বদলে দিয়েছিল । মোহনবাগান এর এই জয় ভারতীয় রাজ্য- রাজনীতিতে নতুন দিগন্ত খুলে দেয় । ইংল্যান্ড এর বিভিন্ন সমসাময়িক পত্রিকায় মোহনবাগান এর কৃতিত্ব কে কুর্নিশ জানানো হয়েছিল । ভারতবাসীর মনে বিশ্বাস জন্মেছিল যে গোরাদের হারানো অসম্ভব নয়। নতুন ফুটবল শক্তি হিসেবে মোহনবাগান এর অগ্রগমন ব্রিটিশ-রা ভালোভাবে নেয় নি। মোহনবাগান এর জনমানসে জনপ্রিয়তা ভীতির সঞ্চার করেছিল গোরা দের বুকে । নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে তাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে ছলনার আশ্রয় নিল ব্রিটিশ রা। হারানো জমি ফিরে পেতে ১৯১২ এর শিল্ড এর প্রথম ম্যাচেই ক্যালকাটা ক্লাব এর বিরুদ্ধে ( ময়দানি ভাষায় যাকে বলে ' রেফারি ম্যানেজ' করে ) আমাদের জোর করে হারানো হয়। দুটি নিশ্চিত গোল থেকে বঞ্চিত করা হয় মোহনবাগান কে। ম্যাচটি মোহনবাগান ২-১ গোলে হেরে যায় । পারসি কোম্পানির তোলা ছবিতে বাতিল গোল দুটির নিশ্চয়তা স্পষ্ট বোঝা যায়। সুনাম এর তুঙ্গে থাকা শিবদাস ভাদুরী এই পরাজয় একেবারেই মেনে নিতে পারেন নি। জোর করে হারিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে একপ্রকার অভিমানেই তিনি খেলা ছেড়ে দেন। বিজয়দাস ভাদুরী এবং সুধীর চ্যাটার্জি ও তাকে অনুসরণ করে অবসর নিলেন।
রাগ, বিরাগ , অনুতাপ , অভিমান
জীবন জুড়ে ' মোহনবাগান '
পর্ব-২:http://mbborntorule.blogspot.com/2015/12/blog-post_88.html

No comments:

Post a Comment