আই এস এলের ফুটবলাররা
যোগ দিচ্ছে না, এই নিয়ে
এতদিন মাথাব্যথা ছিল
মোহনবাগান কোচ সঞ্জয়
সেনের। সেই মাথাব্যথা কমতে
না কমতেই নতুন সমস্যায়
সঞ্জয়। আই লিগের সঙ্গে
পিঠোপিঠি শুরু হচ্ছে
সর্বভারতীয় অফিস
টুর্নামেন্ট। যাতে রয়েছে
শিলটন পাল, প্রীতম কোটাল,
কিংশুক দেবনাথ, রাম মালিক,
পঙ্কজ মৌলা, দেবজিৎ
মজুমদার, তীর্থঙ্কর রায়,
প্রবীর দাস, শৌভিক ঘোষ,
লালকমল ভৌমিকদের মতো
বাগানের জনা দশেক সদস্য।
এঁদের মধ্যে বেশির ভাগই
প্রথম সারির ফুটবলার। আর
অফিস লিগের খেলা মানে
ফুটবলারদের ছাড়তে ক্লাব
বাধ্য। গত মরশুমে আই লিগের
ফাইনাল খেলতে গিয়ে সি ই এস
সি–র চাকরি ছাড়তে হয়েছিল
প্রীতমকে। এখন তিনি ইনকাম
ট্যাক্সের চাকরিতে যোগ
দিয়েছেন। তবে আয়কর
দপ্তরের কিংশুক, শিলটন,
লালকমল, প্রীতমদের অফিস
খেলার সূচি অনুযায়ী, ক্লাবের
জার্সিতে খেলতে অসুবিধা
হওয়ার কথা নয়। কিন্তু
বাকিদের? উদ্বিগ্ন রয়েছেন
বাগান সারথি। শনিবার সকালে
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে
চিন্তার সুরে সঞ্জয়ের
মন্তব্য, ‘অফিস লিগের
খেলাও শুরু হচ্ছে। একটু
সমস্যা হল, তা মানতেই হবে।
চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছি,
দেখা যাক কীভাবে সামলানো
যায়।’ এই চিন্তার মাঝেও
নিজের অবস্থানে অনড় আই
লিগ চ্যাম্পিয়ন কোচ। তঁার
মন্ত্র,নাম নয়, পারফরমেন্স
দিয়ে দলে সুযোগ করে নাও।
লুসিয়ানো দলের সঙ্গে
এখনও যোগ দেননি। তঁার
আসতে আসতে আগামী
সপ্তাহ হয়ে যাবে। সনিও নেই।
ফলে ৯ জানুয়ারি প্রথম ম্যাচে
দুই বিদেশিকে নিয়েই শুরু করার
ভাবনা বাগান কোচ সঞ্জয়
সেনের। ব্রাজিলীয়
ডিফেন্ডারের প্রসঙ্গে
সঞ্জয়ের সটান জবাব,
‘লুসিয়ানো চলে আসবে আর
ওকে খেলাব, সেটা ভাবলে ভুল।
আগে ফিটনেস যাচাই করে
নেব।’ শনিবার বাগান
অনুশীলনের শেষে মানবিকতার
স্পর্শ। বর্ষবরণের রাতে
পার্ক স্ট্রিটের রেস্তোরাঁ
থেকে বেরিয়ে সঞ্জয় সেনের
স্ত্রীর মোবাইল খোয়া
গিয়েছিল। মঙ্গল কর্মকার ও
বিকাশ বিশ্বাস নামে দুই
ব্যক্তি শনিবার সকালে সেই
হারিয়ে যাওয়া মোবাইল
মোহনবাগান কোচের হাতে
তুলে দেন। এ দিন অনুশীলন
শেষে, একটি ফ্যানস ক্লাবের
তরফে নববর্ষের শুভেচ্ছা
জানাতে সবুজ–মেরুন কোচ ও
ফুটবলারদের হাতে
পুষ্পস্তবক এবং গ্রিটিংস
কার্ড তুলে দেওয়া হয়।
No comments:
Post a Comment